পৃষ্ঠা

বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১

এই গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা করুন প্রাকিতিক উপায়ে।

করোনা কালিন সময়ে মানুষের এখন ঘর বন্দি জীবন। তার উপরে গরমের প্রকোপ। আমাদের সবার ঘরে তো আর এসি নেই। যার কারনে গরমকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কোনও উপায় আমাদের হাতে নেই বললেই চলে। কিন্তু আমাদের কিছু নিয়ম এনে দিতে পারে আমাদের জিবনে প্রশান্তি।

তাই আজ সবার কথা ভেবে আপনাদের জন্য এনেছি কিছু টিপস যা আমাদের ঘরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন যেনে নেই ঘর ঠান্ডা করার উপায়।

১। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘরে জানালা বন্ধ করে ফেলুন। সকালের রোদের মিষ্টি ভাব কেটে গেলেই জানালা বন্ধ করে ফেলুন এবং জানালাই পর্দা টেনে দিন। তাতে করে ঘরের ভিতরে বাহিরের তাপমাত্রা সরাসরি ঢুকতে পারবে না। এ সময় ফ্যান চালু রাখলে আরাম পাবেন। আবার বিকেল হলেই জানালা খুলে দিন। যদি ঘরের জানালা মুখোমুখি থাকে তাহলে ঘরের বাতাস চলাচল করবে ভালো।

২। ঘরে হাল্কা রঙের পর্দা এবং বেড শিট ব্যাবহার করুন। হাল্কা রঙ তাপমাত্রা প্রতিফলন করে ফলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

৩। ঘরে যত আলো কম থাকবে তত ঘর ঠান্ডা থাকবে।

৪। ঘরের ভিতরে গাছ রাখতে পারেন। ঘরের ভিতরে গাছ ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এবং তাপমাত্রা শোষণ করবে। তবে যদি কারো পরাগরেনুতে এলার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই ঘরে গাছ রাখার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

৫। রান্না করার সময় এডজাস্ট ফ্যান চালু রাখুন যাতে করে রান্নার তাপ ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।

৬। হাল্কা পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন এবং জানালা বন্ধ করে ফ্যান চালু করে দিন ঘরের তাপমাত্রা কমে যাবে।

৭। ঘরের জানালার সামনে একটি টেবিল ফ্যান লাগিয়ে দিয়ে তার সামনে কিছু বরফ টুকরো রেখে ফ্যান চালিয়ে দিন তবে খেয়াল রাক্তে হবে যেনো ফ্যানের বাতাস বরফের গায়ে লাগে এতে করে কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে।

৮। যেদিক দিয়ে ঘরে রোদ প্রবেশ করে সেদিকে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। তাছাড়া ঘরের এক কনে জল ভর্তি পাত্র রেখে ফ্যান চালিয়ে দিন এতে করে ঘরের তাপমাত্রা এমনিতেই ২-৩ ডিগ্রি কমে যাবে।

৯। ঘরম বেশি হলে জানালার পর্দাই জল স্প্রে করে তারপর ফ্যান চালিয়ে দিন। ঘরের তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে।

১০। যাদের পরাগরেনুতে এলার্জি আছে তারা ইচ্ছে করলে জানার বাহিতে গাছ রাখতে পারেন এবং ঘরের চারপাশে গাছ রাখতে পারেন তাতে এমনিতেই ঘর ঠান্ডা থাকবে।

১১। ঘরের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখতে ফ্যান তো চালু রাখতেই হবে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেনো ঘরের বাকি ইলেক্ট্রিক পন্য যেনো বন্ধ থাকে। কারোন ইলেক্ট্রিক পন্য চালু থাকতে তা ঘরম হয় এবং এতে করে ঘরের তাপমাত্রা বেরে যেতে পারে।

 

 

 

 

 

তথ্য সুত্রঃ

বাংলা.এসিয়ানেটনিউজ.কম
ফেমিনা.ইন অনলাইন 

রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

চুল পড়ার সমস্যাই ভুগছেন?

বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় প্রাই সবার ভিতরে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মাথার চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেই। এবং সাথে সাথে মাথার চুল হালকা হতে থাকে। এক সময় দেখা যায় মাথা খালি হয়ে গেছে মানে মাথায় টাক পড়ে গেছে। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে যদি কিছু প্রবর্তন আনতে পারি তাহলে হতে পারে সেটা চুলের গোড়া শক্ত করার কারন। আর যার ফলে হতে পারে আমাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ।

প্রথমে জানতে হবে চুল পড়ার কারন। 

আমাদের মধ্যে অনেকের চুল পড়ার প্রধান কারন হচ্ছে জিন গত বা বংশ গত। যে ক্ষেত্রে আসলে কিছুই করার থাকে না। তবে উইগ বা হেয়ার উইভিং এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। আমাদের চুলের আলাদা সাস্থ হয়ে থাকে যার দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই থাইরয়েড এর সমস্যা আছে যার কারনেও আমাদের মাথার চুল পড়ে থাকতে পারে। আমরা অনেকেই যানি না যে আমাদের পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে, আবার কেউ অপুস্টিতে ভুগলেও কিন্তু মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তাই খাওয়া দাওয়ার দিকটাও আমাদের ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে।


চুল পড়া বন্ধের কিছু সমাধান

কাঠবাদাম বা আমন্ডঃ

এতে আছে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন নামের যৌগ যা চুলের ঘনত্ত্ব বাড়াতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন ৮-১০ টা বাদাম সকালে খালি পেটে খেলে চুল ওঠার প্রবনতা কমে যাবে।

ডিমঃ

আমরা হয়তো অনেকে জানি আবার অনেকে জানি না যে ডিমে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন এবং ভিটামিন বি৭ রয়েছে যা চুল পড়া এবং চুল শক্ত করতে সাহায্য করবে।

স্ট্রবেরিঃ

বর্তমানে বাজারে সারা বছর স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সিলিকা যা চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই ফলে আরোও রয়েছে এলাজিক এসিড যা চুল ওঠা আটকায়।

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের সাস্থের যত্নঃ

এতকিছুর পরেও যদি চুল ওঠা বন্ধ না হয় বা চুল হাল্কা হতে থাকে তাহলে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায়ে চেস্টা করতে পারি যেমনঃ-

নারিকেলের দুধ নারিকেলের তেলঃ

নারিকেলের উপস্থিত ফ্যাটের কারনে আপনার চুলের আভাই ঝলমল করবে। নারিকেল তেল দিলে প্রতিদিন মাথা ম্যাসেজ করুন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন হালকা হাতে ম্যাসেজ হতে হবে। নারিকেল কুরে বা বেটে গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন এর পর তা থেকে দুধ বের করে নিন। তারপর সেই দুধ মাথাই ভালো ভাবে মেখে আদা ঘন্টা রেখে দিন এবং পরে পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন, তাতে আপনার চুলের জন্য যে প্রোটিন আর পটাশিয়াম প্রয়োজন তার যোগান দেবে। এই পদ্ধতি সপ্তাহে মাত্র এক দিন করলেই হবে।

এলোভেরাঃ

চুল আগে ভালো ভাবে শ্যম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন এবং পরে এলোভেরার পাতা চিরে তার ভেতরের শ্বাস বের করে তা মাথাই ভালো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন। তাতে চুল আর ইস্ক্যাল্পের ভিতরে পি এইচ ব্যালেন্স রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের সাস্থ ভালো রাখতে সাহায্য করে। যাদের এলোভেরার শ্বাস সরাসরি সহ্য হই না তারা শ্বাস টা গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে পারেন।

দই, মধু লেবুর রসের প্যাকঃ

আমাদের যাদের চুলের আদ্রতা হারিয়ে গেছে তাদের জন্য এই পদ্ধতিটা খুব উপকারি। দই মধু ও লেবুর রসের প্যাক আমাদের চুলের হারিয়ে যাও্যা আদ্রতা ফেরাতে সাহায্য করে। এই প্যাক সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে। গোছোলের আগে প্যাক লাগিয়ে তা শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মেথিঃ

মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে মেথি ব্লেন্ডার বা যেকোনও পদ্ধতিতে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবং এটি সরাসরি মাথার চুলে লাগাতে পারেন আবার এর সাথে দই বা মধু মেশাতে পারবেন। প্যাক্টি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্প্যু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের বৃদ্ধির জন্য আবশ্যক।

নিম পাতাঃ

নিমপাতার নির্যাস এর জন্য এক মুঠ নিম পাতা এক লিটার পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার মিশ্রনটা ঠান্ডা করে বোতলে রেখে দিন এবং সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে শ্যাম্পু করার পরে এই নিমের জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। স্ক্যল্পে যদি কোনও ইনফেকশন থাকে বা যদি খুশকির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিমের প্রভাবে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে চুলের বৃদ্ধির হার বজায় থাকবে।।

 

 

 

তথ্য সুত্রঃ
দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইন পত্রিকা
ফেমিনা.ইন অনলাইন

রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

শিশুর সঠিক খেয়াল ও যত্নে কি কি করব?

একটি শিশু যখন একটি পরিবারের ঘর আলো করে আসে তখন আমাদের মধ্যে আনন্দের কমতি থাকে না। চারিদিকে যেনো আনন্দের মহল ঝলমল করে ওঠে।

নতুন বাবা মায়েরদের আনন্দের শেষ থাকে না। নতুন মায়ের চিন্তা শিশু কখন খাবে কি পরবে, কেমন করে ঘুমাবে, কেমন করে তাকে গোসল করাবে কেমন করে তাকে সাজাবে। সারাক্ষন যেনো তারই খেয়ালে ডুবে থাকা। বাবা সারাদিন পরে যখন বাসায় ফিরে ক্লান্ত শরিরে বাসায় ফিরে শিশুর মিষ্টি হাসি দেখে ঠিক তখনি যেন পৃথিবির সব ক্লান্তি হারিয়ে যাই। বাবা যখন শিশুর ঘুমন্ত নিস্পাপ মুখের দিকে তাকাই তখন চন্তা করে তার ভবিষ্যৎ কি হবে। সোসাল মিডিয়াই আপনার আদোরের সোনামনিকে নিয়ে যখন কেউ রিয়েকশন করে তখন ও যেনো আনন্দের ডেউ বয়ে যাই।

কিন্তু এত কিছুর মধ্যে আমরা কি শিশুর সঠিক যত্ন নিতে পারছি?

আমরা সবাই আমাদের শিশুকে বেস্ট টাই দিতে চাই কিন্তু কোনটা যে আসলে শিশুর জন্য বেস্ট সেই বিষয়ে আজ জানবো বিস্তারিত। আসুন যেনে নেয়া যাক শিশুর সঠিক লালন পালন ও যত্নের কিছু গুরুত্যপুর্ন বিষয়।

নবযাতক শিশুর ক্ষুধা ও তৃষ্ণা

নবযাতক শিশুর জন্মের পর প্রথম ৬ মাস তাকে মায়ের বুকের দুধ ব্যতিত অন্য কোনও কিছু দেয়া যাবে না। এক ফোটা পানিও দেয়া যাবে না। শিশুর খুধা মিটছে না ভেবে আমরা যে ভুলটা প্রায়ই করে থাকি তা হলো – শিশু মায়ের দুধ খাওয়ার পরেও অনেক সময় কান্না করতেছে তারমানে এই নয়য় যে তার ক্ষুধা রয়ে গেছে। আমরা ভাবি শিশুর হয়তো ক্ষুধা মিটছে না তাই আমরা শিশুকে কৌটার দুধ বা ফর্মুলা মিল্ক খাওয়াই যা হতে পারে শিশুর জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নবযাতক বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক তোফাজ্জেল হোসেন খান বলেন যে শিশুকে ২৪ ঘন্টায় ৮-১০ বার বুকের দুধ পান করাতে হবে, তাতে যদি শিশু অন্তত ৬ বার প্রসাব করে এবং নিয়মিত যদি ওজন বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝতে হবে একটি শিশু তার পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে তার মায়ের কাছ থেকেই।

শিশুর ৬ মাস পুর্ন হলে?

শিশুর বয়স যখন ৬ মাস পুর্ন হবে তখন কি করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ইফফাত আরা শামসাদ বলেন যখন শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ন হবে তখন থকে শিশুকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খেতে দিতে হবে। যেমন পরিবারের সবার সাথে তৈরি করা সেমি সলিড খাবার খেতে দিতে পারেন। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে খাবারের পরিমান বাড়িয়ে দিতে হবে। শিশুর এ সময় খাবারের তালিকাই ভাত, মাস, মাংশ, সাক, সবজি সব ভালো ভাবে মাখিয়ে মজা করে খাইয়ে দিন। কিন্তু অবশ্যই টিভি বা মোবাইল দেখিয়ে খাবার খাও্যানোর অভ্যাস করাবেন না। শিশুকে খাওয়ানোর জন্য জোরাজুরি করবেন না। চাইলে ওয়র জন্য আলাদা করে খাবার তৈরি করুন তবে অতিরিক্ত পাতলা করে নয়। সব কিছু গুছিয়ে শিশুকে খাওয়াতে বসুন। প্রিতিদিন শিশুর খাবারের তালিকাই একটি ডিম ও একটি ফল যোগ করুন। ডিম খাওয়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেনো ডিম অবশ্যয় ভালো ভাবে ভাজা হয়। তা না হলে জিবানু সংক্রমনের ঝুকি থাকে। শিশুকে মোট পাঁচ বার সময় করে প্রতিদিন খাওয়াতে হবে। দুই বেলা ভাত বা খিচুড়ি এবং সকালের নাস্তার পাশাপাশি আরো দুই বেলা পুষ্টিকর নাস্তা দেয়া শিশুর জন্য ভালো। ৬ মাস বয়সের পর থেকেই শিশুকে গ্লাসে করে পানি খেতে দিন কিন্তু মনে রাখবেন মামপট বা ফিডারে করে পানি খেতে দিবেন না। কোমল পানিয়, চিপস, বা বাহিরের কোনও খাবারে অভ্যাস হতে পারে শিশুর জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারোন।

কিন্তু শিশুর জন্য স্বাস্থ্য সম্মত পোশাক?

শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিস্কার পোশাক দিতে হবে। তবে মাথা ঢেকে রাখবেন। জন্মের তিন দিন পার হলেই তারপর শিশুকে গোসল করাতে হবে। তবে শিতের সময় শিশুকে একদিন পর পর গোসল করাতে হবে। শিশুর বয়স এক মাস পার হলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। শিশুর শরিরে আদ্রতা বজাই রাখতে শিশুর শরিরে তেল মাখাতে পারেন। তেলের মধ্যে জল্পাই তেল ব্যাবহার করতে পারেন। তবে শিশুর মুখে তেল দেয়া উচিৎ না। তবে আমরা সাধারনত শিশুকে সরিসার তেল মাখিয়ে থাকি সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু সরিষার তেল ঝাজালো তাই শিশুর মাথাই এবং মুখে জেনো সরিষার তেল ব্যাবহার না করা হয়। সে ক্ষেত্রে আর একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন যদি তেল বেশি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে (হোক সে যে কোনও তেল) তাহলে শিশুর মাথাই প্রলেপ পড়তে পারে। শিশুর যত্নে ব্যাবহার করতে পারেন বেবি লোসন, বেবি শ্যাম্পু কিন্তু এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে শিশুর বয়স ১৫ দিনের আগে কিছুই ব্যাবহার করা যাবে না।

শিতে শিশুর চুল না ফেলাই ভালো। শিশুর প্রথম চুল ফেলতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করা ভালো।


শিশুর ঘুম সঠিক হচ্ছে তো?

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে শিশুর মাথা রাখতে পাগড়ির মতো গোল একটা কিছু তৈরি করা হয়, আসলে যার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে শিশুর জন্য এক ইঞ্চি উচ্চতার নরম এবং পাতলা বালিশ ভালো তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘাড়ে ভাঁজ না পড়ে। শিশুকে অবশ্যয় মায়ের কাছে ঘুমাতে দিন। তবে খুব খেয়াল রাখতে হবে যেনো শিশুর মুখের উপরে কম্বল, কাঁথা, বিছানার চাদর, বালিশ এমনকি মায়ের শরিরের কোনও অংশ যেমন ওড়না বা শারির আঁচল যেন শিশুর নাক বা মুখে চেপে না যায় এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশু বিছানা থেকে পড়ে না যায়।

 

তথ্য সুত্রঃ

দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন পত্রিকা

সাজগোজ অনলাইন ওয়েব পোর্টাল

সোমবার, ২৪ মে, ২০২১

শিশু করোনা আক্রান্ত হলে কি কি বিষয় মেনে চলতে হবে?

বর্তমানে শিশুদের ভিতরে করোনা আক্রান্তের ঘটনা আগের তুলনাই বেড়ে গিয়েছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে যে করোনার দ্বিতিয় ঢেউ এর সময় আমাদের মদ্ধ্যে যে সাস্থবিধি মেনে চলার কথা তা অনেক অংশেই শিতিল্য লাভ করেছে এবং শিশুদের স্কুল কোচিং বন্ধ থাকেও যাতে করে তারা বাড়িতে বসে বোরিং ফিল না করে তার জন্য আমরা তাদের বাজারে বা শপিং মলে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি যা আক্রান্ত হও্যার অন্যতম কারন। এর মদ্ধ্য অন্যতম কারন হচ্ছে ঈদ ভ্রমনে বের হওয়া।

এ বিষয়ে ডাঃ মঞ্জুর হোসেন (সভাপতি বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি ও সাবেক পরিচালক ঢাকা শিশু হাসপাতাল) কিছু লক্ষনের বিষয়ে বলেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন।

করোনা আক্রান্ত শিশুদের লক্ষন এখন পর্যন্ত সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। কিছু কিছু সময় শিশুদের ভিতরে লক্ষন দেখা দেয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনো লক্ষন বোঝা যায় না।

লক্ষন সমুহঃ

১. জ্বর হতে পারে

২. শিশুর নাক দিয়ে পানি ঝরা দেখা যেতে পারে

৩. সাথে সর্দি – কাশি দেখা যেতে পারে

৪. এ সময় শিশুদের ভিতরে ক্লান্তিবোধ দেখা যেতে পারে

৫. শারিরিক ব্যাথা অনুভুত এবং সাথে সাথে গা ম্যজম্যজ করতে পারে

৬. এ সময় গলা ব্যাথা থাকতে পারে

৭. ডাইরিয়া ও থাকতে পারে

৮. বড়দের মতো স্বাদ হিনতা বা ঘ্রান শক্তি হ্রাস হতে পারে।

আবার এ সমস্ত লক্ষন বাদেও অন্যদিকে হতে পারে তিব্র কাশি, জ্বর বা শ্বাস্কষ্ট ও হতে পারে। আবার অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে তাদের পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা।

আবার অনেক সময় দেখা গেছে অনেক শিশুর ক্ষেত্রে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোম নামে একটি নতুন সিনড্রোম দেখা গেছে। এর ফলে দেখা যায় যে শিশুর শরিরে জ্বর, পেটে ব্যাথা, বমি বা বমি বমি ভাব, ডাইরিয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। আবার এর ফলে হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালির এবং স্নাওয়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কিছু নির্দেশনা সমুহঃ 

সম্প্রতি দেখা গেছে আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখা আকাশ ছুয়েছে। তার মদ্ধ্যে শিশুরাও রয়েছে। তাই ভারত সরকার শিশুদের করোনা সংক্রান্ত একটি বিশেষ নির্দেশিকা বের করেছে যাতে অরে অভিভাবকদের সচেতন হতে সহায়তা করছে।

বাংলাদেশ জাতীয় কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত চিকিৎসা নিতিমালাতেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে।  তাছাড়াও বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি এরই মদ্ধ্যে শিশুদের কিভাবে কি চিকিৎসা দিতে হবে তার একটি পুর্নাঙ্গ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। যার মদ্ধ্যে কি নির্দেশনা হলো . . . . . . . .

১. কোন শিশু যদি করোনা আক্রান্ত হয় কিন্তু যদি তার ভিতরে কোন রকম লক্ষন দেখা না যায় অর্থাৎ পরিক্ষাই করোনা পজিটিভ এসেছে কিন্তু কোনও লক্ষন দেখা যাচ্ছে না তাহলে আমাদের উচিৎ নিয়মিত শিশুর সাস্থ মনিটর করা। কারন আক্রান্তের প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা দেয়া সহয হয়।

২. শিশুদের ভিতরে যদি গলা ব্যাথা, কাশি বা রাইনোনিয়ার মত লক্ষন দেখা যায় তাহলে হাসপাতালে না নিয়ে শিশুকে বাড়িতেই চিকিৎসা করুন। যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তবেই কেবল হাসপাতালের সরনাপন্য হবেন।

৩. যদি কোনও শিশুর জন্মগত হৃদরোগ, দির্ঘস্থায়ি ফুসফুস এর রোগ বা দির্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধি বা স্থুলতা সহ জটিল কোনও রোগ থেকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি যত্নশিল হতে হবে।

বড়দের এবং শিশুদের করোনা উপসর্গ কি এক রকম?

কোভিড – ১৯ এ আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর বা কাশি কিন্তু নাও থাকতে পারে।

চিন থেকে পাওয়া এক তথ্যে দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস কম মারাত্বক রুপ ধারন করছে। এবং এ তথ্যে আরো বলা হচ্ছে যে প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে শিশুদের লক্ষনও ভিন্ন রকম দেখা যাচ্ছে।

এরি মদ্ধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ বিষয়ে একটি গবেশনা প্রতিবেদন সয়াব্র সামনে প্রকাশ করেছে। যাতে বিশ্লেষন করা হয়েছে চিন থেকে পওয়া তথ্য। তবে এ রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের লক্ষন সম্পর্কে কিছু স্পস্ট করে বলা হয়নি।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পরিক্ষাগারের তথ্য অনুযায়ি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগির তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার  ৫২৭ জনের বয়স ১৮ এর নিচে। আরে বাকি ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৮৮ জন রয়েছে ১৮ বছরের উর্ধে।

এখানে দেখা গেছে শিশু রোগি অর্থাৎ যারা ১৮ বছরের নিচে তাদের ক্ষেত্রে মোট ৭৩% এর মধ্যে জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট লক্ষ করা গেছে এবং একিসাথে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের প্রাই ৯৩% রোগির ভিতরে জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট পাওয়া গেছে। আক্রান্ত শিশুদের ভিতরে মাত্র ৫.৭% বা ১৪৭ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়েছে যা প্রাপ্ত বয়স্ক রোগির তুলনাই অনেক কম।

এই গবেষনার আওতাধিন শিশু রোগির মদ্ধ্যে মারা গিয়েছে ৩ জন শিশু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ১৫ জন শিশুকে নেয়া হয়েছে আইছিইউ তে।

এই গবেষনা আগের গবেষনাকেই সমর্থন করে যে শিশুদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর  বা কাশি নাও থাকতে পারে।

তবে এটা স্পষ্ট যে কোভিড – ১৯ শিশুদের জন্য খুব একটা গুরুতর না। তবে এটা ভেবে সাস্থবিধি লংঘনের কোনও সুযোগ নেই। সেই সাথে সামাজিক দুরুত্ব ও প্রোতিরোধক মুলোক ব্যাবস্থা নেয়া সব বয়সী মানুষের জন্য বাধ্যতামুলোক।

তবে গবেষকরা আরো বলছেন যে চুড়ান্ত ফলাফল পেতে বা চুড়ান্ত উপসঙ্ঘার পেতে আরো গবেষনা প্রয়োজন।

 

তবে মুল কথা ঝুকি যেমনই হোক না কেনো আমাদেরকে অবশ্যই সাস্থবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকা যাবে না। ঘন ঘন দুই হাত সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ধুতে হবে। আর অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহারের নিয়ম মেনে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে যেমন নাক, মুক যেন ভালো ভাবে ঢেকে থাকে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাস্ক ব্যাবহারের সঠিক ও বিস্তারিত নিয়ম জানতে ভিজিট করুন কোন মাস্ক কিভাবে পরতে হবে?

 

  

 

তথ্য সুত্রঃ                                                                                                                                  

দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন পত্রিকা
দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইন পত্রিকা
দৈনিক যুগান্তর অনলাইন পত্রিকা

শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১

আপনার শিশুর ওজন খুব বেশি? ওবেসিটি-তে ভুগছে না তো?

সু স্বাস্থই সকল সুখের মুল এ কথা যেমন সত্য ঠিক তেমনই সু স্বাস্থের জন্য সঠিক ওজন থাকা জরুরি হোক সে বড় বা ছোট। সবার ক্ষেত্রে সঠিক ওজন থাকাটা জরুরি। শিশুদের ওজন বেড়ে গেলে বা ওজন না বাড়লে বা কমে গেলে মা-বাবারা অনেক সময় দুশ্চিন্তাই পড়ে যাই। কিন্তু এত চিন্তার ভিড়ে শিশুর জন্য সঠিক কাজটি করা ভুলে যাই অনেক বাবা মা। ওজন বেড়ে গেলে বা কমে গেলে দরকার শিশুর জীবনযাত্রাই পরিবর্তন আনা। খাওয়া বন্ধ করে ওজন কমানো বা বেশি বেশি খাওয়ানো হতে পারে শিশুর জন্য মারাত্ত্বক ক্ষতির কারন।

একটি শিশুর জীবনযাত্রার মানের উপর নির্ভর করে তার ওয়জন বাড়া বা কমা।

শিশুদের মদ্ধ্যে বিষেশ করে ৮ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ওয়জন বাড়া কমা শুধু খাওয়া দাওয়ার উপরে নির্ভর করে না। আমরা অনেকে জানিই না যে এ বয়সে শিশুর ওজন শুধু খাওয়া দাওয়ার উপরে নির্ভর করে না। শিশুদের ওজন বেড়ে গেলে সারাদিন না খাইয়ে রাখা বা ওজন কমে গেলে সারাদিন বেশি বেশি করে খাওয়ানো হতে পারে শিশুদের জন্য মানসিক চাপের কারন এবং এর জন্য শিশুর ব্রেনের উপরে চাপের সৃস্টি হয় যা একটি শিশুর জন্য মারাত্ত্বক ক্ষতির কারন।

এর সমাধানে সঠিক গাইডলাইন দেন পারসোনা হেলথের প্রধান পুষ্টিবিদ শওকত আরা সাঈদা । ফ্যাট যুক্ত খাবার বেশি খেলে শিশুদের ক্ষেত্রে দুই ধরনের সমস্যা হতে পারে। এক কিছু কিছু শিশু ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করে আবার কিছু কিছু শিশু ফ্যাট যুক্ত খাবার একদম পছন্দ করে না। এর সমাধান হচ্ছে-শিশুকে প্রতিদিন নিয়ম করে যে কন ফর্মুলাই শিশুকে দিতে হবে।

১। শিশুর ওজন বাড়াতে প্রতিদিন শিশুর খাদ্যে দুধ রাখতে হবে তবে যদি দুধ এ কোন সমস্যা থাকে তাহলে দই বা চিজ দেয়া যেতে পারে।

২। শিশুর ওজন বেড়ে গেলে ডিম বয়েল করে বা পানিতে পোচ করে দিতে হবে।

৩। শিশুর ওজন কমে গেলে ডিম বাটার বা ঘি দিয়ে দিলে ওজন বাড়ার কাজে লাগবে।

৪। এছাড়া ভাতের সাথে ঘি বা ডিমের পুডিং দিলে ওজন বাড়ার কাজে লাগবে।

অতিরিক্ত ক্যলোরি পরিহার করতে হবে।

যে সমস্ত শিশুর ওজন বেশি তাদের খাবারে কনোভাবেই তাদের ভিটামিন বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে শিশু পুষ্টিহিনতাই ভুগতে পারে। তবে খাবার তৈরিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে যেমন ডিম তেল দিয়ে ভাজা যাবে না। এতে করে ডিমের ক্যলোরির পাশাপাশি তেলের ক্যালোরিও যুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ খেয়াল রাখতে হবে শিশুর চাহিদা পুরনের পরে যেন বাড়তি ক্যালোরি যুক্ত না হয়ে যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শারিরিক
কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

শিশুর ওজন কমে গেলে বা বেড়ে গেলে শিশুর খাওয়া কমিয়ে বা খাবার অতিরিক্ত না বাড়িয়ে দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের শারিরিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে।

এটিই সব থেকে ভালো উপায়। বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে যেনো শিশু সারাক্ষন বসে না থাকে। বাইরে বের হতে না পারলে বাসার ছাদে বা গ্যারেজে বা বাসার ভিতরেই সাইক্লেনিং করতে হবে। এছাড়া স্কিটিং করা বা শিড়িতে উঠা নামা করলেও শারিরিক কার্যক্রম বারে। এতে করে ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়ার প্রবনতা কমে যায়।


খাদ্য তৈরির উপায় পরিবর্তন করতে হবে।

শিশুদের ওজন বেড়ে গেলে তাদের কম খাইয়ে বা ওজন কমে গেলে বেশি বেশি না খাইয়ে দরকার তাদের খাবারের প্রস্তুত প্রনালিতে পরিবর্তন আনতে হবে যেমন- শিশুর ওজন বেশি হলে তার খাবার ডুবো তেলে না ভেজে বেক করে দেয়া উচিৎ। স্যান্ডুইচ এ অতিরিক্ত মেয়োনিজ ব্যাবহার না করে ব্রাউন ব্রেড দিয়ে ঘরে তৈরি করে দেয়া যায়। শাক জাতিও খাবার সব ওজনের শিশুদের জন্য দরকারি। এটি মাছের সাথে মিশিয়ে ঘরে কাটলেট বানিয়েও দেয়া যেতে পারে। আবার রঙ্গিন সবজি চাইনিজ স্টাইলে বানিয়ে দিলেও শিশুদের মধ্যে খাবারের আগ্রহ বাড়বে। আবার নুডুলসের ভিতরে একটু বেশি পরিমানে শব্জি দিয়ে সাথে মাংশ এবং ডিম দিলেও এতে প্রচুর পরিমানে পুস্টি পাওয়া যায়। বার্গারের মদ্ধ্যে ফ্রোজেন পেটি না দিয়ে বরং ঘরে থাকা ফ্রেশ মাংস দিয়ে তৈরি করে দিতে হবে।

ক্যালোরির হিসেব রাখতে হবে।

যে সমস্ত শিশুদের ওজন কমাতে হবে তাদের ক্ষেত্রে ১৫০০ থেকে ১৬০০ ক্যালোরি খেতে পারবে আবার যে সমস্ত শিশুদের ওজন বাড়াতে হবে তাদের ক্ষেত্রে ১৫০০ থেকে ১৮০০ ক্যালোরি পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। তবে এই পরিমান শিশুদের বয়স ও উচ্চতার উপরে ভিত্তি করে কমতে বা বাড়তে পারে।

 

গাইড লাইন দেখার আগে জেনে নিতে হবে যে আপনার সোনামনির ওজন বাড়ছে কি না। তবে এর জন্য আর এখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দরকার নেয়। এখন বাড়িতে বসেই আপনি আপনার ছোট্ট সোনামনির ওজন এবং উচ্চতা স্বাভাবিক আছে কিনা।

গ্রোথচার্টঃ

ওজন বাড়ছে না কমছে? তা মাপ্তে হবে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে। এর জন্য মেডিকেল সায়েন্স তৈরি করেছে একটি গ্রোথ চার্ট যা শিশুর উচ্চতা এবং মাথার পরিধি অনুযায়ি তৈরি। যার পেশাগত নাম দেয়া হয়েছে গ্রোথচার্ট। এই চার্টে বলে দেয়া হয়েছে শিশুর বয়স অনুযায়ি উচ্চতা, ওজন এবং মাথার পরিধি কেমন হওয়া উচিৎ।

বয়স / মাস

দৈর্ঘ / সেন্টিমিটার

ওজন / কেজি

মাথার পরিধি / সেন্টিমিটার

৫১.১ - ৫৮.৪

৩.৪ – ৫.৭

৩৫.১ – ৩৯.৫

৫৪.৭ - ৬২.২

৪.৪ – ৭

৩৬.৯ – ৪১.৩

৫৭.৬ - ৬৫.৩

৫.১ – ৭.৯

৩৮.৩ – ৪২.৭

৬০ - ৬৭.৮

৫.৬ – ৮.৬

৩৯.৪ – ৪৩.৯

৬১.৯ - ৬৯.৯

৬.১ – ৯.২

৪০.৩ – ৪৪.৮

৬৩.৬ - ৭১.৬

৬.৪ – ৯.৭

৪১ - ৪৫.৬

৬৫.১ - ৭৩.২

৬.৭ – ১০.২

৪১.৭ – ৪৬.৩

৬৬.৫ - ৭৪.৭

৭ – ১০.৫

৪২.২ – ৪৬.৯

৬৭.৭ - ৭৬.২

৭.২ – ১০.৯

৪২.৬ – ৪৭.৪

১০

৬৯ - ৭৭.৬

৭.৫ – ১১.২

৪৩ – ৪৭.৮

১১

৭০.২ – ৭৮.৯

৭.৪ – ১১.৫

৪৩.৪ – ৪৮.২

১২

৭১.৩ – ৮০.২

৭.৮ – ১১.৮

৪৩.৬ – ৪৮.৫