করোনা VS অন্তঃসত্ত্বা !
গত এক বছর ধরে আমাদের দেশে করোনা দিন দিন বেড়েই
চলেছে, বর্তমানে চলছে করোনার দ্বিতীয় ডেউ। বর্তমানে কমবয়স্ক তরুন যুবকেরা বেশির
ভাগ আক্রান্ত।আবার কেউ কেউ জটিলতাইও পড়ছে। এবার নারি সহ পুরুষ এর হার পরাই সমান।
এই কম বয়স্ক নারীদের ভিতরে হইত পড়ে যেতে পারেন জারা
গর্ভধারন করেছেন বা করবেন। করনার ঝুকি থেকে এই সমস্ত নারিদের সর্বচ্চ সতর্কতা
অবলম্বন করতে হবে।
বাচ্চা একখন নেবো?
অনেকি হইতো এই সময় বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু তাদের প্রতি আমাদের একটি উপদেশ যে মহামারি ঠিক না হও্যা পর্জন্ত একটু অপেক্ষা করেন। এখন পর্জন্ত এ ধরনের কনো প্রমান পাওয়া যাইনি যে করোনা সংক্রমন গর্ভবতি নারী বা তার গর্ভে থাকা শিশুর কনও বাড়তি ক্ষতি করবে। কিন্তু ফুস্ফুস সহ অন্যান্য যেমন অক্সিজেন এর মাত্রা কমে জেতে পারে। বিষেশ করে জাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে ডাইয়াবেটিক্স স্থুলতা এ ধরনের রোগ আগে থেকেই আছে তাদের জন্য যেমন হাসপাতাল এবং সাস্থ সেবা প্রচন্ড সংকটাপন্ন। বাইরে বের হলে সংক্রমনের ঝুকি- সব মিলিয়ে বর্তমান সময়টা গর্ভধারন করার জন্য সঠিক সময় না।
করনা গর্ভাবস্থাই হয়ে গেলে.......
গর্ভধারণের শুরুর দিকে বা
মাঝামাঝি কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হন, তবে তাঁর চিকিৎসাব্যবস্থা আর দশজন করোনা রোগীর মতোই হবে।
এ ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে মেডিসিন ও সংশ্লিষ্ট অন্য বিশেষজ্ঞদেরও
পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকেরা রোগের তীব্রতা অনুযায়ী নির্দেশিকা অনুসরণ করে চিকিৎসা
দেবেন। অবশ্যই নিজে নিজে বা কারও পরামর্শে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখে কোনো
ওষুধ সেবন করবেন না। গর্ভকালে করোনা হলে প্রয়োজন বোধ করলে বিশেষ শিল্ড ব্যবহার
করে বুকের এক্স-রে বা সিটি
স্ক্যান করতেও কোনো বাধা নেই।
স্টেরয়েড বা ডেক্সামেথাসোন, রক্ত পাতলা করার ওষুধ
ইনোক্সাপাইরিন, দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে।অল্প
মাত্রাই যারা অসুস্থ তারা বারিতেই তাদের চিকিৎসা নিতে পারেন। কিন্তু অক্সিজেন কমে
গেলে বা শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে অবশ্যই। সংক্রমণ হলেও গর্ভধারণ
চালিয়ে যেতে পারবেন। যদি নিযে সুস্থ থাকেন তাহলে সুস্ত সন্তান জন্ম দিতে কনও বাধা
নেই।
যদি কেউ ডেলিভারির একদম শেষসময়
করোনা সংক্রমিত হন তাহলে তাদের অবশ্যই
হাস্পাতালে ভর্তি হতে হবে নিবিড়
পর্যবেক্ষন করার জন্য। সম্ভব হলে ডেলিভারির সময় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া তাতে আপনি
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তবে যদি প্রসাওব ব্যাথা উঠে যাই বা পানি ভেংগে
যাও্যার মত জরুরি অবস্থা তৈরি হই তাহলে আর দশ জন মায়ের মত স্বাভাবিক ভাবে বা
সিজারিয়ান করা জেতে পারে, তবে সাভধানতা অবলম্বন করে। করোনা হলেই যে সিজারিয়ানে
জেতে হবে তার কোনও কথা নাই স্বাভাবিক ভাবেও ডেলিভারি হতে পারে। তবে সে খেত্রেও
বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মুল কথা হলো সতর্কতাই হলো সর্বত্তম পন্থা
বারতি সতর্কতা যেমন মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি পালন করা, ভিড় এড়িয়ে চলা ইত্যাদি মেনে চলতে
হবে। তবে গর্ভতি অবস্থাই যে ৮ বার প্রসব–পূর্ববর্তী চেকআপ প্রচলিত আছে তা কমিয়ে দিন প্রয়জনে অনলাইনে
ভার্চ্যুয়ালি করার পরামর্শ দিচ্ছি।
তবে যদি জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, স্বাদহীনতা, দুর্বলতা ইত্যাদি যেকোনো উপসর্গে
দ্রুততম সময়ে করোনার টেস্ট করা ভালো। তবে বাড়িতেই পুষ্টিকর খাবার খান, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে নিজেকে ফিট
রাখুন। অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপ একদম নেবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। যদি সম্ভব হয় রোদে
কিছুক্ষণ বসুন। ইমিউনিটি বাড়াতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো অবশ্যই পালন করুন।
1 টি মন্তব্য:
Kub socenota mulok post. Keep it up vaya...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন