পৃষ্ঠা

সোমবার, ১০ মে, ২০২১

করোনা কালে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রন, কিন্তু কিভাবে?

করোনার এই সময় সব চেয়ে বেশি ঝুকিতে আছে বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস রোগিরা। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডায়াবেটিস রোগিদের উচিৎ রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে রাখা। কিন্তু করোনা সংক্রমনের প্রভাব ঠেকাতে আমাদের ঘরে থাকা জরুরি। তাই বাইরে গিয়ে হাটাহাটি করা বা জগিং করা বন্ধ প্রাই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জগিং করা খুব জরুরি। বাহিরে যাওয়া যাবেনা বলে বসে থাকলে চলবে না। তাহলে কি করবেন?

চিন্তার কোনও কারন নেই আপনি আপনার ঘরে থেকেই ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।


বাড়িতে ব্যায়াম করে কমাতে পারেন রক্তের গ্লুকোজ।

জগিং-

ঘরের কনোও এক জায়গায় ৩০ মিনিট জগিং করতে পারেন তবে প্রথম ৫ মিনিট ধিরে ধিরে তারপর ২০ মিনিট দ্রুত এবং আবার শেষের ৫ মিনিট ধিরে ধিরে করতে হবে। জগিং করার সময় অবশ্যই আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে হবে। জগিং শেষ হয়ে গেলে আরামদায়ক স্থানে ৫ মিনিট শুয়ে থাকতে হবে এটাকে বলে কুলডাউন।

দড়িলাফ-

দড়িলাফ হতে পারে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে দড়িলাফ করতে পারেন। এতে করে আপনার শরিরের গ্লুকোজের মাত্রা যেমন কমবে তেমনি আপনার শরিরের অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হবে। ১০ মিনিট দড়িলাফে প্রাই ১০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়।

অ্যারোবিক ব্যায়াম-

শারিরিক যে ব্যায়ামের ফলে শরিরে ঘাম হয় এবং ওক্সিজেন এর চাহিদা বেড়ে যাই তাকে অ্যারোবিক ব্যায়াম বলা হয়ে থাকে। যেমন সাইক্লিং, ড্যান্সিং বা বাসায় ট্রেডমিলে ২০-৩০ মিনিট দৌড়।

শ্বাসতন্ত্রের বিশেষ ব্যায়াম বা ব্রিদিং ব্যায়াম-

বর্তমান সময়ে সাধারন ক্যালরি ক্ষয়ের পাশাপাশি শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়াম করা জরুরি। তাই প্রদিনের ব্যায়ামের সাথে যোগ করুন নিচের ব্যাম গুলি যা করতে পারেন বাড়িতে বসেই...



ব্রিদিং ব্যায়াম-

প্রথমে একটি সোজা জাইগাই লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন, এর পরে এক হাত পেটের উপরে রাখতে হবে, পেট উপরের দিকে ফুলে উঠবে এমন ভাবে শ্বাস নিতে হবে, এবং শ্বাস কে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে, এবার ধিরে ধিরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন, এভাবে দিনে অন্তত দুইবার করতে হবে। এই ব্যায়াম করলে ফুসফুস এর ব্যায়াম হবে।

কপালভাতি-

এটিও একটি ব্রিদিং ব্যায়াম। চেয়ারে বসে ছোট ছোট করে শ্বাস নিন কিন্তু শ্বাস ছাড়ুন জোরে জোরে। এবারে শ্বাস ছাড়তে হবে নাক দিয়ে তবে নিয়ম মেনে যেমন- শ্বাস ছাড়ার সময় নাকের এক পাশ হাত দিয়ে বন্ধ করে অন্য পাশ দিয়ে ছাড়তে হবে আবার আরেক পাশ হাত দিয়ে বন্ধ রেখে অন্য পাস দিয়ে ছাড়তে হবে। এভাবে অন্তত দিনে দুই বার করে করতে হবে কমপক্ষে ১০-২০ বার করে।



৩টি মন্তব্য:

Sweety বলেছেন...

This is very helpfull article. Thanks

Unknown বলেছেন...

This is very important article. And now we need to follow this trick for the good health. Thanks bro...

Unknown বলেছেন...

Eita sotti khub upokari post. Thanks