পৃষ্ঠা

রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

চুল পড়ার সমস্যাই ভুগছেন?

বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় প্রাই সবার ভিতরে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মাথার চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেই। এবং সাথে সাথে মাথার চুল হালকা হতে থাকে। এক সময় দেখা যায় মাথা খালি হয়ে গেছে মানে মাথায় টাক পড়ে গেছে। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে যদি কিছু প্রবর্তন আনতে পারি তাহলে হতে পারে সেটা চুলের গোড়া শক্ত করার কারন। আর যার ফলে হতে পারে আমাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ।

প্রথমে জানতে হবে চুল পড়ার কারন। 

আমাদের মধ্যে অনেকের চুল পড়ার প্রধান কারন হচ্ছে জিন গত বা বংশ গত। যে ক্ষেত্রে আসলে কিছুই করার থাকে না। তবে উইগ বা হেয়ার উইভিং এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। আমাদের চুলের আলাদা সাস্থ হয়ে থাকে যার দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই থাইরয়েড এর সমস্যা আছে যার কারনেও আমাদের মাথার চুল পড়ে থাকতে পারে। আমরা অনেকেই যানি না যে আমাদের পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে, আবার কেউ অপুস্টিতে ভুগলেও কিন্তু মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তাই খাওয়া দাওয়ার দিকটাও আমাদের ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে।


চুল পড়া বন্ধের কিছু সমাধান

কাঠবাদাম বা আমন্ডঃ

এতে আছে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন নামের যৌগ যা চুলের ঘনত্ত্ব বাড়াতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন ৮-১০ টা বাদাম সকালে খালি পেটে খেলে চুল ওঠার প্রবনতা কমে যাবে।

ডিমঃ

আমরা হয়তো অনেকে জানি আবার অনেকে জানি না যে ডিমে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন এবং ভিটামিন বি৭ রয়েছে যা চুল পড়া এবং চুল শক্ত করতে সাহায্য করবে।

স্ট্রবেরিঃ

বর্তমানে বাজারে সারা বছর স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সিলিকা যা চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই ফলে আরোও রয়েছে এলাজিক এসিড যা চুল ওঠা আটকায়।

কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের সাস্থের যত্নঃ

এতকিছুর পরেও যদি চুল ওঠা বন্ধ না হয় বা চুল হাল্কা হতে থাকে তাহলে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায়ে চেস্টা করতে পারি যেমনঃ-

নারিকেলের দুধ নারিকেলের তেলঃ

নারিকেলের উপস্থিত ফ্যাটের কারনে আপনার চুলের আভাই ঝলমল করবে। নারিকেল তেল দিলে প্রতিদিন মাথা ম্যাসেজ করুন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন হালকা হাতে ম্যাসেজ হতে হবে। নারিকেল কুরে বা বেটে গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন এর পর তা থেকে দুধ বের করে নিন। তারপর সেই দুধ মাথাই ভালো ভাবে মেখে আদা ঘন্টা রেখে দিন এবং পরে পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন, তাতে আপনার চুলের জন্য যে প্রোটিন আর পটাশিয়াম প্রয়োজন তার যোগান দেবে। এই পদ্ধতি সপ্তাহে মাত্র এক দিন করলেই হবে।

এলোভেরাঃ

চুল আগে ভালো ভাবে শ্যম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন এবং পরে এলোভেরার পাতা চিরে তার ভেতরের শ্বাস বের করে তা মাথাই ভালো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন। তাতে চুল আর ইস্ক্যাল্পের ভিতরে পি এইচ ব্যালেন্স রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের সাস্থ ভালো রাখতে সাহায্য করে। যাদের এলোভেরার শ্বাস সরাসরি সহ্য হই না তারা শ্বাস টা গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে পারেন।

দই, মধু লেবুর রসের প্যাকঃ

আমাদের যাদের চুলের আদ্রতা হারিয়ে গেছে তাদের জন্য এই পদ্ধতিটা খুব উপকারি। দই মধু ও লেবুর রসের প্যাক আমাদের চুলের হারিয়ে যাও্যা আদ্রতা ফেরাতে সাহায্য করে। এই প্যাক সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে। গোছোলের আগে প্যাক লাগিয়ে তা শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মেথিঃ

মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে মেথি ব্লেন্ডার বা যেকোনও পদ্ধতিতে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবং এটি সরাসরি মাথার চুলে লাগাতে পারেন আবার এর সাথে দই বা মধু মেশাতে পারবেন। প্যাক্টি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্প্যু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের বৃদ্ধির জন্য আবশ্যক।

নিম পাতাঃ

নিমপাতার নির্যাস এর জন্য এক মুঠ নিম পাতা এক লিটার পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার মিশ্রনটা ঠান্ডা করে বোতলে রেখে দিন এবং সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে শ্যাম্পু করার পরে এই নিমের জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। স্ক্যল্পে যদি কোনও ইনফেকশন থাকে বা যদি খুশকির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিমের প্রভাবে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে চুলের বৃদ্ধির হার বজায় থাকবে।।

 

 

 

তথ্য সুত্রঃ
দৈনিক কালের কন্ঠ অনলাইন পত্রিকা
ফেমিনা.ইন অনলাইন

কোন মন্তব্য নেই: