পৃষ্ঠা

বুধবার, ৫ মে, ২০২১

করোনাই অ্যাজমা রোগির করনিয় কি?

বর্তমানে করোনা রোগিদের ক্ষেত্রে শ্বাস কষ্ট, কাশি, সর্দি, জ্বর এর ম উপসর্গ দেখা দেয় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু যাদের অ্যাজমা বা শ্বাস কষ্ট আছে তাদের জন্য করোনা একটা বড় ভয়ের কারন। সেই সমস্ত বিষই মাথাই রেখে বর্তমানে ডাক্তার রা কিছু গুরুত্বপুর্ন পরামর্শ দিয়েছেন। যে পরামর্শ গুলি মেনে চললেই ঝুকি অনেকটাই কম্বে বলে মনে করেন তারা। আসুন জেনে ণেই সেই সব পরামর্শ। তার আগে জেনে নেয়া যাক কেনো করোনা রুগিদের ক্ষেত্রে শ্বাস কষ্ট থাকলে ঝুকি বেড়ে যাই।



শ্বাস কষ্ট থাকলে সংক্রমন ঝুকি বেড়ে যাই কেন?

ভাইরাস সংক্রমনের সাথে সাথে শরিরের কোষ গুলি ফুলে ওঠে। ভাইরাসের অনু গুল ফুলে ফেটে গিয়ে শরিরের চার পাশের অনুগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমন। তাতে করে সংক্রমন দ্রুত ব্রংকিওল টিউবে  ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমন যদি বেশি মাত্রাই ছড়াই তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুস এর মিউকাস মেম্ব্রনে। ফুসফুস এর দুইপাশের অংশ পেরিফেরিয়াল থেকে সংক্রমন ছড়িয়ে পরে শ্বাস নালি অর্থাৎ ট্রাকিয়ার দিকে। সংক্রমন যখনি ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়বে তখনি আপনার শরিরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকবে। এতে করে তারা পড়তে পারে করনার গুরুতর সংকটের মুখে।

করোনা সংক্রমিত রোগিদের অ্যাজমা থাকলে করনিয় কি?

বিশেষজ্ঞ গন বলছে যাদের শ্বাস কষ্ট রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমনের ঝুকি অনেক অংশে বেশি। তাই যাদের এই সমস্যা আছে তাদের উদ্ধেশ্যে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যা মেনে চললেই থাকা যাবে অনেকটাই ঝুকি মুক্ত।

সতর্কতা আর নিয়ম মেনে চললেই এই সংক্রমনের প্রকোপ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

অ্যাজমা রোগির সাভধানতা......

১. যে সমস্ত রোদি ইনহেলার ব্যাবহার করেন তারা অবশ্যই নিয়মিত ইনহেলার ব্যাবহার করুন। এবং প্রতিবার ইনহেলার ব্যাবহারে পর তা পরিস্কার করে রাখুন।

২. ধুম্পান এই রোগের প্রকোপ অনেক অংশেই বাড়িয়ে দেই তাই ধুম্পান অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। সম্প্রতি এক পরিশংখান থেকে যানা গেছে যে ধুমপায়িরাই এই সংক্রমনে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

অ্যাজমা রোগির সতর্কতা.....

১. অ্যাজমা রোগী যদি সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যি তাকে টিকা গ্রহন করতে হবে।

২. যদি টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পরে আপনি সংক্রমিত হন তাহলে অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য এক মাস অপেক্ষা করুন।

৩. অ্যাজমা ছাড়াও যদি আপনার অন্য রোগ যেমন ক্যান্সার, এইচ আই ভি থাকে তাহলে টিকা নেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

৪. খুব প্রয়োজন না হলে বাহিরে যাবেন না।

৫. প্রয়জনে মাস্ক দুটি করে ব্যাবহার করুন।

৬. ধুমপান বন্ধ করুন এবং যেখানে ধুমপান করা হয় এমন স্থান এড়িয়ে চলুন।

৭. যদি আপনি ইনহেলার ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যি নিয়মিত ব্যাবহার করুন। এবং প্রয়োজনিও মেডিসিন স্টকে রাখুন।

৮. প্রটিন সম্মৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেস্টা করুন।

৯. বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন।

১০. খাবার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে হাত হ্যান্ড স্যানিটাইজড করে নিন।

 

২টি মন্তব্য:

siddik বলেছেন...

খুব উপকারি পোস্ট। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Unknown বলেছেন...

Khub dorkari ekta article. Thanks vaya. Keep it up....